ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাইলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাত্র ২ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বাকি ৭ ইউনিয়নে হয়েছে ভরাডুবি। ২ বিদ্রোহী, ২ বিএনপি সমর্থিত, ১ জাপা ও ২ স্বতন্ত্রদের হয়েছে দাপুটে জয়। এরজন্য প্রার্থী সিলেকশনে অনিয়ম দূর্নীতিকেই দায়ী করছেন এখানকার তৃণমূল আওয়ামীলীগ। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সরাইলের ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। এরমধ্যে জামানাত হারিয়েছেন অধিকাংশ প্রার্থী। আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন ৯ জন। জয়লাভ করেছেন মাত্র ২ জন। এরা হলেন- শাহবাজপুরে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল (নৌকা) ৬৩১৯ ভোট ও শাহ্জাদাপুর ইউনিয়নে মোসাম্মৎ আছমা আক্তার (নৌকা) ৫ হাজার ভোট পেয়েছেন। আর আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চুন্টায় যুবলীগ নেতা মো. হুমায়ুন কবির (আনারস) ৬৬৫৬ ভোট ও পানিশ্বর ইউনিয়নে আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মিষ্টার আলী (মোটর সাইকেল) ৮২১৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। সরাইল সদর ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার মোটর সাইকেল প্রতীকে ৯১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পাকশিমুল ইউনিয়নে বিএনপি’র সমর্থক কাউছার হোসেন আনারস প্রতীকে ৭৬০৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। অরূয়াইলে বর্তমান চেয়ারম্যান জাপা নেতা (লাঙ্গল) মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া ৭২১৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। কালীকচ্ছ ইউনিয়নে মো. ছায়েদ হোসেন (মোটর সাইকেল) প্রথমে জাপা ও পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ৪৮২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) ৪২৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। চুন্টা ইউপি যুবলীগের আহ্বায়ক মো. মনিরূল ইসলাম বলেন, তৃণমূলের মতামতকে প্রধান্য ও গুরূত্ব না দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আজকে এমন ভরাডুবি হয়েছে। এ ছাড়া মনোনয়ন দিতে গিয়ে অনিয়ম দূর্নীতিও করেছেন অনেকে। এভাবে চলতে থাকলে দল এখানে একসময় অস্তিত্ব হারা হয়ে যাবে। সরাইল উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল ভরাডুবির জন্য প্রার্থী সিলেকশনে ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, এমন ফলাফলের জন্য দলের সাংগঠনিক দূর্বলতাও দায়ী। এ ছাড়া দেখে শুনে আরো ভাল প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দরকার ছিল।