নির্বাচিত হয়েই মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন শিখা রানী দাস। তার বসতঘর এখন ফুল, ফল আর মিষ্টিতে ভরে উঠেছে। ভাসছেন অভিনন্দনের জোয়ারেও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ সংরক্ষিত নারী আসন থেকে শিখা রানী দাস এবার বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
শিখা রানী দাস উপজেলা যুবলীগের প্রয়াত নেতা বাদল দাসের স্ত্রী।
বাদল দাসও ছিলেন হৃদয়বান মানুষ।
এলাকার উন্নয়ন ও দলের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।
বাদল দাসের অকাল মৃত্যুর পর তার পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
স্বামীর মৃত্যুর পর শিখা রানী দাসও সেবাপরায়ণা হয়ে উঠেন। প্রয়াত স্বামীর মতো এলাকার অসহায় ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটা পথ খোঁজ ছিলেন।
তাই চতুর্থ দাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের ১,২,৩ সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হন। শিখা রানী দাস প্রার্থী হতেই অন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল না করে তাকে সমর্থন দেন।
২৯ নভেম্বর ছিল যাচাইবাছাই। যাচাইবাছাই শেষ হতেই উপজেলা যুবলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীরা মিষ্টি ও ফুলের মালা নিয়ে ছুটে যায় তার বাড়িতে। তাকে ভালোবাসায় সিক্ত করেন।
মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খালেকুজ্জামান ভূইয়া আলমগীর বলেন, প্রয়াত বাদল দাস ছিল মনিয়ন্ধের বনেদি পরিবারের সন্তান। এই পরিবার সব সময়ই ইউনিয়নবাসীর পাশে ছিল। বাদল দাসের স্ত্রীও সেই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন- আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল বলেন, বাদল দাস ছিল দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এখন স্বামীর মতো তার স্ত্রীও সাধারণ মানুষের সেবা করতে পারবে।
বাদল দাসের ঘনিষ্ঠভাজন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, শিখা রানী দাস স্বামীর মতোই অসহায় ও সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন বলে এটা আমার বিশ্বাস। তার জন্য আমাদের সহযোগিতা সব সময়ই থাকবে।
বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত শিখা রানী দাস বলেন সমাজের অসহায় মানুষের সেবা করার পাশাপাশি আমার এলাকার পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য কাজ করে যাব।