৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ।
৫ম ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্র্রাথমিক বাচাই করার লক্ষে তৃনমুলের সাথে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় শ্রমকল্যান কেন্দ্র হলরেিম এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী মো.ছফি উল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরষিদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হানিফ মুুন্সি,যুগম আহবঅযক আবু নাসের আহমেদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম। প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম যারা কিনেছেন তাদের উদ্ধেশ্যে পরামর্শ প্রদান করেন।পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় ইউনয়ন আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোয়ননের জন্য কতজনের নাম পাঠানো হবে এই বিষয়ে মতামত গ্রহন করেন।
কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোয়ননের জন্য কতজনের নাম পাঠানো বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন দীর্ঘ তিনবছর পর আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নিজেদেরে মধ্যে বিভক্তিভুলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একসাথে একমঞ্চে এসেছে।এই বিষয়টা উপজেলা আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। উপজেলীগ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আশুগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিপুলভোটে জয়লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিনি আরো বলেন নিার্বচনকে কন্দ্রে করে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইর যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদি কোন প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হবে। এই ব্যাপারে কোন গাফিলতি করা হবে না। তাচাড়া তৃনমুলের মতামত অনুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে ৫জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় বলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
উল্লেখ্য গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কন্দ্রে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক হাজী ফফি উল্লাহ মিয়া -যুগ্ম আগবায়ক মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের আহমেদেও নেতৃত্বে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই কারণে দলীয় যেকোন কর্মসূচি দুটি গ্রুপে আলাদা-আলাদাভাবে পালন করা হতো।