পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যদের কর্মক্ষম করতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সকাল সাড়ে ৯টায় কলাপাড়া পায়রা পোর্ট এর মালটিপারপাস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থ্য সদস্যদের অংশগ্রহনে "মর্ডান অফিস ম্যানেজমেন্ট" বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যাচ ৫ ও ৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্যা রুরাল পূয়র(ডরপ) এর সহযোগীতায় পায়রা বন্দরের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানর সভাপতিত্ব করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক, লেঃ কমান্ডার মোঃ আদনান আবির নাঈম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামাল হোসেন।, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর, ডিআইএসএফ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন এম.মনিরুজ্জামান, বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এবি এম হুমায়ুন কবির, ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আঃ জলিল। উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ডরপ এর প্রকল্প কর্মীবৃন্দ। ছয় মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে দুটি ব্যাচে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ৫০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন সংস্থা ডরপ পায়রা বন্দর নির্মানে ক্ষতিগ্রস্থ্য চার হাজার দুইশ পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত তিন হাজার চারশ পঞ্চাশ জন সদস্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে নিজেদের নিয়োজিত করেছে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে ইপিজেড হবে। এখানে কয়েক হাজার দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের অনেক সুযোগ থাকবে।