ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসীর সাথে প্রতারনা করায় রফিকুল ইসলাম (৪৯) নামের এক হাতুরে চিকিৎসককে এলাকাবাসী আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন নীলখোলা এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রফিকুল ইসলাম নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ও সাইনবোর্ডসহ প্যাডে এমবিবিএস চিকিৎসক লিখে টরকী বন্দরে আনোয়ারা মেডিকেল হল প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারনা করে আসছিলেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম শেরপুর সদরের চরমুচারিয়া গ্রামের আলহাজ¦ আবদুল ওয়াহেদের ছেলে। প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি দীর্ঘদিন থেকে টরকীর নীলখোলা নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজারে সেবা মেডিকেল হল নামের তার আরো একটি চেম্বার রয়েছে। সেখানেও সে ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের চিকিৎসার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
আটকের পর অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমি এইচএসসি পাশ করার পর আল্টা মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জনকণ্ঠকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি (ইউএনও) উল্লেখ করেন।