পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যৌন হয়রানি ও মারধরের অপমান সইতে না পেরে আত্মহননের প্ররচনাকারী বাইজিদ ও তার সহোযোগীদের গ্রেপ্তাতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন সহপাঠী সহ এলাকাবাসী।
৭ ডিসেম্বর বেলা সারে ১১ টায় ফারিয়া আত্মহননের প্ররচনাকারী ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবী জানান। এ বিষয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালত পটুয়াখালীতে মোঃ বাইজিদ (২২) পিতা- মোঃ মিজানুর রহমান মন্টু খান, মোঃ মিজনুর রহমান মন্টু খান (৪৫) পতিা-মৃত আদেল খান, মোঃ আরাফাত (২০) পিতা- মোঃ মোশারেফ খানসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে ফারিয়ার মা হোসনেয়রা বেগম( মরিয়ম) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৩৪৬/২০২১
মামলা সুত্রে জানাযায়, পটুয়াখালীর সদর উপজলোর আউলষ্টিয়াপুরের শেহাকাঠির সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের মেয়ে ফারিয়া আক্তার মিম (১৫) উত্তর বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। ফারিয়া আক্তার ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে তার মা হোসনেয়ারা বেগেম বাড়িতে থাকে। ফারিয়ার বাবা বিদেশ থাকার কারণে এলাকার বখাটে সুযোগ নেয়। অভিযোগে ফারিয়ার মা বলেন, বখাটে বাইজিদ আমার মেয়েকে ১ বছর আগে থেকেই প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা ধরনের কুকর্মের প্রস্তাব দেয়। আমার মেয়ে আমাকে বলে আমি বাইজিদের মা বাবা ও আত্মীয়দেরকে বললে তারা আশ্বাস দেয় বাইজিদ আর ডিস্টাব করবে না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাইজিদ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং রাজী না হলে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকিদ দেয়। আমার ময়েকে জোড় করে বিয়ে করবে। বিষয়টি আবারও বাইজিদের মা বাবাকে অবহিত করলে কোন প্রতিকার মেলেনি। মামলার ৩ নং আসামি মোঃ আরাফাতসহ অন্যান্য আসামিরা আমার ময়েকে বায়েজিদের সাথে বিয়ে দিতে বলে। ২৫-১১-২১ তারিখ আমার মেয়ে ফারষ্টিয়া আক্তার প্রাইভেট পড়ার জন্য গেলে পথিমধ্যে মোঃ মজিানুর রহমান মন্টু খান এর প্ররোচনায় বাইজিদ ও আরাফাতসহ পথ রোধ করিয়া আমার ময়েকে মারধর করে ও বিব¯্র করে ছবিতুলে ফইেজবুকে দেওয়ার হুমকি দেয়। লজ্জা অপমান সইতে না পেরে ২৬-১১-২১ তারিখ বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে যে কোন সময় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করনে। পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ সুরত হাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন।