শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মানুষ ও বন্যহাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষক কেন্দ্রীয় অঞ্চল ঢাকা আরএসএম. মুনিরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম. রুহুল আমীন।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এএসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেস নাইম, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন, ঝিনাইগাতীর ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদিদ্দন ও ইআরটি সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার, ঝিনাইগাতীর ওসি ফায়েজুর রহমান, নালিতাবাড়ীর ওসি বছির আহমেদ বাদল, মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা আবদুল করিম, ইআরটি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তারা জানান, বন্যহাতির সাথে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার হাতি চলাচলের এলাকাকে বন্যহাতির অভয়াশ্রম করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কোন অবস্থাতেই বন্যহাতিকে বৈধ্যুতিক শক দিয়ে মারা যাবে না। যদি কেউ এমন কাজ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বন্যহাতির আক্রমনে নিহত পরিবারকে ৩ লাখ, আহতকে ১ লাখ ও ফসলের ক্ষতিপুরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও জানান তারা। তাই ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানান তাহলে তারা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন বক্তারা। পরে প্রধান অতিথি মোস্তফা কামাল ৩২ জন উপকারভোগীর মাঝে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের ১ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬২ টাকার চেক, ইলিফেন্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ ও গত এপ্রিল মাসে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত অপুর্ব চাম্বুগং এর পরিবারের সদস্যের মাঝে ক্ষতিপুরণ হিসেবে ৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।