ভোটের লড়াই হওয়ার আগেই প্রতীক নিয়ে হয়ে গেল আরেক লড়াই। মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনে বেশির ভাগ চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস ও সাধারণ সদস্যরা মোরগ ও ফুটবল প্রতীক দাবি করেন। একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করায় লটারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হয়। চতুর্থ দাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা দলবল নিয়ে নিজ নিজ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হন। সহকারি রিটার্নিং ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর বলেন, আমার দায়িত্বে থাকা দুই ইউনিয়নে একাধিক ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা মোরগ ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আনারস প্রতীক দাবি করেন। প্রতীক নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার সুযোগ দেওয়া হলেও বেশির ভাগ প্রার্থী মীমাংসায় আসতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে লটারি করতে হয়েছে। এমনকি সংরক্ষিত প্রার্থীদের প্রতীক নিয়েও লটারি করতে হয়েছে। আখাউড়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পর পর দুইবার নির্বাচিত সাধারণ সদস্য মোঃ হান্নান মোরগ প্রতীক দাবি করেন। এ সময় তার প্রতিদ্বন্ধি অন্য তিন প্রার্থী দাবি না ছড়াই রিটার্নিং কর্মকর্তা সমঝোতার কথা বললে হান্নান মোরগের দাবি ছেড়ে ভ্যানগাড়ি প্রতীক বেছে নেন। কিন্তু অন্য তিন প্রার্থী মোরগ প্রতীকের দাবি না ছাড়ায় লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় লটারিতে মোরগ প্রতীক পেয়ে সোবা মিয়া সন্তোষ প্রকাশ করলেও বাকি দুই প্রার্থী পছন্দের প্রতীক না পেয়ে বেশ হতাশ হন। একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মনির মিয়া বলেন চেয়েছিলাম ফুটবল লটারিতে পেয়েছিও ফুটবল। তবে বাকি তিন প্রার্থী তাদের পছন্দের প্রতীক না পেয়ে মনে হয় বেশ বেজার হয়েছেন। সদর উত্তর ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী রতন দাস বলেন, আমি এবং আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোরগ প্রতীক চেয়েছিলাম। প্রতীক নিয়ে লটারি হয়। আমি বিজয়ী হই। উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমান বলেন, সব প্রার্থীই আনারস দাবি করায় আমি প্রতীক লড়াইয়ে না গিয়ে ঘোড়া প্রতীক বেছে নিয়েছি। এদিকে মোগড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থীই আনারস প্রতীক দাবি করেন। পরে লটারিতে মইনুল ইসলাম আনারস প্রতীক পান। বর্তমান চেয়ারম্যান মনির হোসেন মটরসাইকেল, জাহাঙ্গীর আলম টেলিফোন, কাউছার ভ’্ঁইয়া অটোরিকসা, এম এ মতিন চশমা, নান্নু মিয়া ঘোড়া ও কাশেম ভ’ইয়া পান টেবিল ফ্যান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে টানাহেঁচড়া হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় আসতে না পারায় বাধ্য হয়ে লটারি করতে হয়েছে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ দাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।