ক্ষুধার্ত সেই কাঠবিড়ালীর কথা বলতে চেয়েছিলাম, বেঁচে থাকার লোভে যে একদিন কাঠবাদামের স্তূপে চাপা পড়ে মরে গিয়েছিল
...বড় হয়ে জানলাম, মৃত্যুর ফেরেশতা নিজেই আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু সেসব সন্দেহ করার মতো বুদ্ধি কৈশোরে আয়ত্ত করতে পারিনি। শুধু জীবন বাড়িয়ে চলেছি একের পর এক
আর একেকটি জীবনে বারংবার মোম ঘসে যাচ্ছি নষ্ট জিপারে।
বিমানবন্দর
আকাশ আর সমুদ্রে প্রকৃতপক্ষে খুব পার্থক্য নেই। নইলে বিমানসমূহের নকশা কেন মাছের মতন হবে?...রোদ্দুরে ঝকমক করে ওঠে লেজ, ফিন। নূহের নৌকার সাথে পাল্লা দিয়ে তারাও ভাসতে থাকে দিগন্ত বরাবর।
আমি ক্রমশ দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ি, তুমি গুটিশুটি মেরে বসে আছ বিমানে, নাকি মাছের পেটে?
Ñমাছের পেট থেকে বের হবার দোয়াও মনে পড়ে না তখন
পাঁজর
...আর সেতার বেজে ওঠে।
বিস্মিত হই, কতটা ভঙ্গুর এ পাঁজর। একেকবার হাসো আর ভেঙে ভেঙে যায়। অথচ তোমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আমার বাম পাঁজরের হাড় থেকে।
Ñএটা জেনেও কীভাবে গ্রীবা বাঁকিয়ে নাসারন্ধ্র ফুলিয়ে ওভাবে তাকাতে পারো
শুনেছি সবুজ কবুতরের পাঁজর খুব সুস্বাদু। আজ পর্যন্ত আর কোনো সবুজ কবুতর দেখিনি আমি, শিরিন। মনে পড়ে যায়, সাত বছর আগে স্কুল ছেড়েছ তুমি। তখন সবুজ রঙের ইউনিফর্ম পরতে;Ñএক কোনায় এখনো আইসক্রিমের চকলেটরঙা দাগ লেগে আছে।
তোমাদের কলেজে নতুন ইউনিফর্ম ছিল পীত রঙের।
আর কোনো পীতরঙা কবুতরও এই জীবনে দেখেছি বলে মনে পড়ে না
ছাদে এক যুবক কবুতর ওড়াত। আমি তাকে ঈর্ষা করতাম। মনে আছে, এক চৈত্রের দুপুরে তার ঘরে আগুন লেগেছিল?
...মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, সে আগুন কি আমিই লাগিয়েছিলাম