আসন্ন পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে পাঁচ আওয়ামী লীগ গণ পদত্যাগ করেছেন। চরম ক্ষোভ ও দলের প্রতি অভিমান থেকে এ পদত্যাগ নিচ্ছেন তাঁরা।
জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ছোটন প্রথম পদত্যাগ করেন। তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ছোটন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলা ২নং ইলিশা ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার আশাব্যক্ত করেন। পরে নৌকা প্রতীক না পেয়ে নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছোটনের পদত্যাগ ঘোষণা হওয়ার ঘন্টাখানেক পর ওই ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন নামে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীও স্বেচ্ছায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দেন তার ফেসবুকে।
এরপর ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলেউদ্দিন পাটোয়ারী, রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদসহ এই ৫ নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। পদত্যাগ ঘোষণা দেওয়া ওই ৫ নেতা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাননি। তাই দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া এসকল নেতাকর্মীরা ১৫ ডিসেম্বর রাতে ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রগুলো গ্রহণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন। পদত্যাগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, তাদের সবাই পারিবারিক অসুবিধা থাকায় ওই পদ থেকে তাঁরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, দলীয় কোনো পদে থেকে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা মানে দলীয় নীতিমালা ভঙ্গ করা। যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় তখন মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে কোনো দলীয় কর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার নিয়ম নেই। তবে যাঁরা এখন পর্যন্ত এই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তাদের বিষয়ে দলীয়ভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।