দীর্ঘ ২১বছর পর ভোলার তজুমদ্দিনের ২নং সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। মেম্বার প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের মাঝে বইছে ভোটের আমেজ।
এদিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের আনাগোনা-মহড়ায় আতঙ্কে রয়েছে প্রার্থীরা।আর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছে ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
সীমানা বিরোধের মামলার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর নির্বাচন বন্ধ থাকার পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোলার তজুমদ্দিনের সোনাপুর ইউপি নির্বাচন। তবে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রার্থী মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদার এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
৯টি ওয়ার্ডে অর্ধশত প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও বহিরাগত লোকজন এনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে ভোটার ও মেম্বার প্রার্থীরা। চরের ৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা বেশী আশংকায় রয়েছে।
২০০১ সালে নির্বাচনের পর সীমানা বিরোধ মামলা জনিত কারণে দীর্ঘ ২১ বছর ভোট হয়নি সোনাপুর ইউনিয়নে। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ মারা যান চেয়ারম্যান হাফেজ হাসান মাসুদ বাবুল। এরপর থেকে একজন প্যানেল চেয়ারম্যান দিয়ে চলতে থাকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদেই নির্বাচন চলছে।
২০ হাজার ৯৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সোনাপুর ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ১৭ হাজার ১শত ৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৫০ ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৫৬ জন।
ইউনিয়নের ভোটারদের দাবী, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হোক। এ ছাড়া বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মহড়া ও উপস্থিতির ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে দাবী জানান স্থানীয়রা।
নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে সব ধরনের সংকট নিরসনসহ ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেদের সব সময় নিয়োজিত রাখার আশ্বাস দিয়ে চলছেন মেম্বার প্রার্থীরা।
এদিকে, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমির খসরু গাজী ও অফিসার ইন-চার্জ জিয়াউল হক।