গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় অবাধে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি ধ্বংস করেছে। সেইসাথে চুল্লি তৈরির জমির তিন মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমাণা আদায় করেছেন।এব্যাপারে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন।
উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের টালাবহ গ্রামে বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে ৮ টি অবৈধ চুল্লি স্থাপন করে অবাধে কাঠ পূড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। দির্ঘদিন যাবত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এলাকায় কাঠ কেটে বনাঞ্চল উজার করে বিশেষ ধরনের চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে বেশী মূল্যে সরবরাহ করে থাকে। চুল্লিতে কাঠ পূড়িয়ে ব্যাপক কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়ার ফলে দূর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হয়। পাশাপাশি ফসল সহ মানুষের শ্বাসকষ্ট ও নানাবিধ রোগব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার এলাকাবাসীর অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েকদিন যাবত চরম উত্তেজনা ও মারামারি পর্যন্ত ঘটে ।
বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জরুরী ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অসাধু চক্রের সদস্যরা সটকে পরেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালত ২ টি অবৈধ কাঠ পূড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি ধ্বংস করেন এবং অবশিস্ট ৬ টি অবৈধ চুল্লি ২ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার জন্য জমির মালিকদের নির্দেশ প্রদান করেন। ঘন বসতি এলাকায় অবৈধভাবে কাঠ পূড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি স্থাপন কারার অপরাধে জমির মালিক টালাবহ গ্রামের মৃত জৈনদ্দিনের পুত্র সাবেক ইউ.পি সদস্য মো. হামিদ ( ৬৫ ), মো. ছামাদ (৫৫), মৃত ইসমাইলের পুত্র মো. রশিদ (৬০) কে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমাণা আদায় করেছেন। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নবাগত ইউ.পি সদস্য মো. ছানোয়র হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামীগ নেতা মো. আতোয়ার রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন