নকলায় চাঞ্চল্যকর সাত মামলার আসামি মুনছুর
আলী ফকির (৩৬) হত্যা মামলায় এক আসামিকে ১৫ দিন পর গাজীপুরের শ্রীপুরের
গড়গরিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। মামলার তদন্ত পাওয়ার ৬ দিনের
মাথায় রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে আসামি আজিজুল ইসলাম (২২) কে গ্রেফতার
করা হয়। সে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বেড়মুড়ি এলাকার সফর উদ্দিনের
ছেলে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
পিবিআই জামালুপুরের এসআই মেসবাউল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর সকালে
নকলা উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা নদীপাড় এলাকায় ফাঁকা কাঁচা রাস্তার
ওপর থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় মুনছুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে থানা
পুলিশ। কিন্তু মরদেহের পরিচয় অজ্ঞাত থাকায় পুলিশ যুবকের আঙুলের ছাপ
সংগ্রহ করে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাম-পরিচয় জানতে পারে। খবর পেয়ে
পরদিন মুনছুরের বাবা হানিফ উদ্দিন ফকিরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা
থানায় আসেন। মরদেহের ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে মুনছুর আলী ফকিরকে শনাক্ত
করে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন মুনছুরের
পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুনছুর আলীর ১০ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে তিনি বরিশালের গার্মেন্টসকর্মী
সালমা আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কয়ার
মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বিভিন্ন যানবাহনে হেলপারের কাজ করে
জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১১ ডিসেম্বর স্কয়ার মাস্টারবাড়ি মার্কেটে
স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটার পর জরুরি কাজের কথা বলে বেরিয়ে যান মুনছুর আলী।
রাত আনুমানিক ১০টার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায় বলেও
জানান তারা
নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা গত ১২
ডিসেম্বর নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীর পাড় থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ
উদ্ধার করি। পরে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিহত নাম-পরিচয় জানা যায়। মামলাটি
চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পিবিআই জামালপুরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। মুনছুর
আলী ফকিরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি,
ডাকাতি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও অস্ত্র আইনে ৭টির মতো মামলা রয়েছে।