বগুড়ার সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের চাষীরা দিন দিন ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় ভূট্টা চাষের আগ্রহের মূল কারন। গত বছর যেখানে চাষ হয়েছিলো প্রায় ৩ হাজার হেক্টর এবার সেখানে চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৩’শ হেক্টর জমি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী, কাজলা, হাটশেরপুর, সদরের আংশিক, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের চাষীরা ইদানিং ব্যাপকহারে চাষ করতে শুরু করেছেন ভূট্টার আবাদ। ৪/৫ বছর আগেই ওইসব চরের চাষীরা ভূট্টা চাষ করেছিলেন মাত্র কয়েক হেক্টর জমিতে আজ সেখানে চাষ করছেন শত শত হেক্টর চরের উর্বর জমিতে। মরিচ সহ অন্যান্য ফসলে পরিবর্তে তাঁরা ভূট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সদরের দিঘলকান্দি গ্রামের চাষী জাকির হোসেন জানান, আমি বাড়ীর পার্শ্বে কাইনচাগাড়ী চরের ৫ বিঘা জমিতে এবার ভূট্টা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে, প্রতি বিঘা জমিতে ৪ হাজার টাকার মত। আশা করছি প্রতি বিঘা জমি থেকে ৭০/৭৫ মণ করে ভূট্টা ঘরে উঠবে এবং প্রতি মণ ভূট্টা ১১/১২’শ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত আবাদের ধরন খুবই ভালো। আবহাওয়া ভালো থাকায় ভূট্টার আবাদ ভালো হওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল হালিম বলেন, চাষীরা অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে ভূট্টার আবাদ বেশি করছেন। কারন এ আবাদে সেচ, সার, পরিচর্যাসহ অন্যান্য খরচ কম। তবে লাভ বেশি হওয়ায় অধিকহারে উচ্চ ফলনশীল জাতের ভূট্টা চাষ করে ভালোবান হচ্ছেন চাষীরা। অনেক চরে ভূট্টার আবাদ দেখে মনে হচ্ছে চরটি ভূট্টার চরে পরিনত হচ্ছে।