৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চাঁদপুর হাইমচর উপজেলারর ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতায় মিজান গাজী(৫৫) নামে আরও একজন নিহত হয়েছে। পঃ ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে তার বাড়ি।
৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নির্বাচনের দিন দুপুরে ২নং উত্তর আলগি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড জামিলা জামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন মিজান গাজি। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুই দিন পর তার মৃত্যু হয়।
এই নিয়ে হাইমচরে নির্বাচনী সহিংসতায় ২জন নিহত হয়েছে। পাঁচই জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা চরে মীর হোসেন বেপারী(৪০) নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়লে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়া কচুয়ায় ছুরিকাঘাতে শরীফ হোসেন এক যুবক নির্বাচনের দিন গুরুতর আহত হলে ১৫ ঘন্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় সে।
এ নিয়ে পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি সহিংসতায় চাঁদপুরে ৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জন নিহত। হাসপাতাল, এলাকা ও পুলিশ সুত্রে এ তথ্য জানা যায়।
নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির নির্বাচনী এলাকা হাইমচর উপজেলার এবং একজন মারা যায় আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও কেন্দ্রীয় নেতা ডঃ সেলিম মাহমুদ এর উপজেলা কচুয়ায়।