ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় ২ ব্যক্তি নিহত। এরা হলো সারুটিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের এর মৃত খোরশেদ আলী শেখের পুত্র আবদুর রহিম (৬০) তিনি গত ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান। বর্তমানে শৈলকুপার আইন শৃংখলার অবস্থা চরম অবনতি।
এছাড়া একই দিন বেলা ১২ টায় বগুড়া ইউনিয়নের বড়বাড়ী বগুড়া গ্রামের আকবর খন্দকারের পুত্র কল্লোল খন্দকার (৩৫) কে মাঠে পেয়াজ লাগানোর সময় প্রায় ২ কিমি,ধাওয়াকরে দলিলপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে উপুর্যপরি দেশীও অস্ত্র দিয়ে কোপালে তিনি গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির ভাই মিল্টন খন্দকার জানান, আমরা সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সমর্থক, প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সমর্থকরা আমার ভাইকে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে শনিবার শৈলকুপা পৌর এলাকায় বিকাল ৪ টায় প্রকাশ্য দিবালোকে চর আউশিয়া গ্রামের শরাফত আলীর পুত্র মহিদ হোসেন (৩৫) কে কুপিয়ে আহত করে দুবৃত্তরা। তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। এ ঘটনার পরপরই শৈলকুপা পৌরভবনে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর করা হয়। এতে একটি মটর বাইক আগুনে ভস্মিভুত হয় এবং পৌর ভবনের জানালার কাঁচ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়।
ঘটনার পর পরই বাজারে আসা লোকজনের ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে মুহুর্তের মধ্যে বাজারটিতে মানুষ শুন্য হয়ে যায়। এ ছাড়াও শহরের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শৈলকুপা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বিগত ১৪ দিনে ৬ জনের মৃত্যুতে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ রি ফকুল ইসলাম জানান,বগুড়া গ্রামে দলিলপুর মাঠে কল্লোল খন্দোকার নামের একজন কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছি। এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শৈলকুপা শহর,বগুড়া ও সারুটিয়া এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।