রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চেঙ্গী সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে নানিয়ারচর উপজেলাসহ রাঙ্গামাটির অন্যান্য উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারী) সকালে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলায় চেঙ্গী সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। চেঙ্গী সেতু উদ্বোধন হওয়ায় নানিয়ারচরসহ পুরো জেলার সাথে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। সেতু পেয়ে খুশি সাধারন মানুষ।
সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের তত্বাবধানে এবং ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন এর বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট সময়েই সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়।
রাঙ্গামাটি-নানিয়ারচর সড়কে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ‘চেঙ্গী সেতু’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, কক্সবাজার ১ আসনের এমপি সাইমুম সোরোয়ার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান এনডিসি এফ ডব্লিউসি, পিএসসি, মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন, এনডিসি, পিএসসি, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন চট্টগ্রাম, বিএ-৩৪৮১ মেঃ জেঃ মোহাম্মদ ফখরুল আহসান, বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু কক্সবাজার, বিএ-৪৭৭৬ ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি, ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, বিএ- ৪৯০১ ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনট্রাকশন ইষ্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ-৫৫০৯ কর্নেল খন্দকার তারিকুল ইসলাম এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি, কর্নেল জিএস, ডিজিএফআই রাঙ্গামাটি, ডেড কমান্ডার, বিএ-৫১৬৩ কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এস ইউপি, এ এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি, এডিজি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ইষ্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ ৬৫০০ লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন দিদার পিএসসি, অধিনায়ক ২০ ইসিবি ডবলমুড়ি চট্টগ্রাম, নানিয়ারচর আর্মি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) রুবাইয়াত হুসাইন পি এস সি, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটেলিয়ান (ইসিবি) ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২৭.৬১ কোটি টাকা।
দীর্ঘদিন একটি সেতুর অভাবে নদী পথে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হতো কয়েক লাখ মানুষকে। সেতুটি চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের যোগাযোগে ভোগান্তি কমলো। সেতু উন্মুক্ত হওয়ায় পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। তেমনী এ সেতুটি নির্মিত হওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সাথে নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, সাজেক এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠলো। পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।