প্রার্থিতা বাতিলের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করার অভিযোগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিল্লাল মেহেদী মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে সরিয়ে ওই তিন ইউনিয়নে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামকে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম জানান, বিল্লাল মেহেদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিল। ওই দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী তার কক্ষে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের ডেকে আনেন। সেখানে তিনি প্রার্থিতা বাতিলের হুমকি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। পরে প্রার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম বিল্লাল মেহেদীকে শোকজ করেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে বিষয়টি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, মুরাদনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।