ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দুই সহদরের বিরুদ্ধে এক হিন্দু পরিবারের জমি দখল করে পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে জোরপূর্বক বালু ভরাট করা হচ্ছে। দখলকারীদের হুমকির মুখে এ ঘটনায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামের।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ওই পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পশ্চিম সাতলা বাজার সংলগ্ন ২০ শতক জমি ক্রয় করে স্থানীয় ক্ষিতিশ হালদার দীর্ঘ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি উজিরপুরের কচা নদীর ওপর সাতলা ব্রিজ নির্মাণের সময় ওই জমির একাংশ অধিগ্রহন করে ব্রিজের এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কের পাশে জমির বাকী অংশ খালি পরেছিলো। এরইমধ্যে গত পাঁচদিন পূর্বে সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ওই হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট শুরু করেন। জমি দখল করে জোরপূর্বক বালু ভরাট করা হলেও চেয়ারম্যান ও তার সহদরের হুমকির মুখে অসহায় ওই পরিবারের সদস্যরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেননা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অতিসম্প্রতি পশ্চিম সাতলা এলাকার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান শাহিন স্থানীয় হিন্দু পরিবারের এক যুবককে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে পুরো এলাকা ঘুরিয়েছেন। ফলে এ অপমান সইতে না পেরে ওই হিন্দু পরিবারটি ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজনে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ওই জমিটা বিক্রির কথা বলে ক্ষিতিশ হালদার আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। জমিটা ভিপি সম্পত্তি হওয়ায় ক্ষিতিশ দলিল দিতে পারেননি। পরবর্তীতে জমির কাগজপত্র ঠিক করা হলেও ক্ষিতিশ হালদার মৃত্যুরবরন করায় আর দলিল করা হয়নি। এরইমধ্যে জমিটা ব্রিজের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলন করে ক্ষিতিসের পরিবারকে অর্ধেক টাকা দেওয়া হবে। তবে সরকারের অধিগ্রহণ করা জমি দখল করে বালু ভরাট করার প্রশ্নে তিনি (চেয়ারম্যান) কোন সদূত্তর দিতে পারেননি।