মুখে মাস্ক নেই, নেই সামজিক দূরুত্ব। আবার দাঁড়িয়ে আছেন গাদাগাদি করে। এই গাদাগাদির মধ্যে উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন একাধিক নারী শিক্ষার্থী। এসব ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর অফিসার্স ক্লাবের টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সাময়িক টিকাদান বন্ধ হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে টিকার গ্রহণের পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এসেছেন টিকাদান কেন্দ্রে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি মানতে উদাসীন সবাই। অধিকাংশ অভিভাবকদের মুখে মাস্ক নেই। টিকার জন্য নিদিষ্ট লাইনে থাকলেও মানছেন না কেউ। জটলা পরিবেশে যে যার যেমন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে মাঠে। টিকা কেন্দ্রে যেন হ য ব র ল অবস্থা নিয়ে ছাদের ওপরে দাঁড়িয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এদিকে, জটলা পরিবেশে টিকাদান চললেও বেলা ১১টার দিকে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতি দেখে পাশের শিক্ষার্থীরা হুড়াহুড়ি করে পালাতে থাকে। এ সময় আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী টিম এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা গেছে, টিকা কেন্দ্রে ভিড়ের মধ্যে এক শিক্ষার্থী অপর নারীকে শিক্ষার্থীকে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ওই নারী শিক্ষার্থীর ছেলে সহপাঠীরা ওই ছেলে মারধর করে। এ নিয়ে টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্রগোগের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে টিকাদানের পরিবেশ নিশ্চিত করেন।
টিকা নিতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী জানান, এখানে স্কুল শিক্ষার্থীরা পাশিপাশি টিকা দেওয়া দেখতে বহিরাগত ছেলেরাও আসছেন। তাঁরা জটলার সৃষ্টি করছেন ও নানা ভাবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অশ্লীল কথাবার্তা বলছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, এসি না থাকায় একটি মাত্র কেন্দ্র উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে ১২-১৭ বয়সের প্রায় ১৫হাজার শিক্ষার্থীরা এ টিকা পাবেন। টিকার প্রথম ডোজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরপর কানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁরা সেখানে এসির ব্যবস্থা করায় সেখানে টিকা দিলে প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল উপজেলা অফিসার্স ক্লাব টিকাকেন্দ্রে দুই হাজার ৫০০জন টিকা দেওয়া হয়েছে। এজন্য একটু বেশি ভিড় ছিল। তবে কোন শিক্ষার্থী উত্যক্তের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ পাইনি।এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিত স্বাভাবিক করলে শিক্ষার্থীরাও নির্বিঘেœ টিকা নিয়েছেন।