“সন্ত্রাসকে না বলুন” স্লোগানে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তজার্তিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মান প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের আয়োজনে উগ্রবাদ প্রতিরোধে ছাত্র, গনমাধ্যমকর্মী সুশীল সমাজের ভুমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মৌলবাদী গোষ্টি বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছ্ েবাংলাদেশ পুলিশ এই সন্ত্রাসবাদ ও চক্রান্ত রোধ করতে বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ হয়ে কাজ করছে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ এর লাগাম টেনে ধরতে সরকারের নির্দেশে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ- ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সারা দেশে সাধারন জনগন, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, গনমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি পরিবারে উগ্রবাদ ও মৌলবাদ প্রতিরোধে সচেতন করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা অপরাধ নিয়ে কাজ করতে যেয়ে দেখেছি, উগ্রবাদ ও মৌলবাদ প্রথমত পরিবারের অসচেতনতার প্রভাবে শিক্ষার্থীদের এই ধরনের অপরাধে জরানোর প্রবনতা দেখা দেয়। এছাড়াও তিনি উগ্রবাদে জরানো ব্যাপারে কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য কারণ তুলে ধরেন, ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ভাবাদর্শগত, আর্ন্তজাতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণ সমূহকে উগ্রবাদে জরানোর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গোষ্টির আকর্ষনীয় প্রচারনা এবং ইন্টারনেট এর প্রচারপত্র, অডিও, ভিডিও দেখে উর্দ্বুদ্ধ হয়। তাই আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। কুষ্টিয়ায় সকল স্কুল কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধীরে ধীরে এই প্রচারনা কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চালানো হবে। এ সময় সেমিনারের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন, মেট্রোপুলিশ-ঢাকার স্পেশাল গ্রুপের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী (বিপিএম), এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অপরাধ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান সহ গনম্যাধ্যমকর্মীবৃন্দ।