অটোরিক্সা চালককে হত্যা মামলায় আসলাম ওরফে মিজান তালুকদার (৩২) নামের অপর এক অটোরিক্সা চালককে মৃত্যুদন্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালতের বিচারক। একই মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত অটোরিক্সা চালকের স্ত্রীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার শেষ কার্যদিবসে এ রায় ঘোষনা করেছেন বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা। দন্ডপ্রাপ্ত আসলাম ওরফে মিজান তালুকদার ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার আগে আসলাম ওরফে মিজান তালুকদার বরিশাল নগরীর ১১ নম্বও ওয়ার্ডের চাঁদমারী এলাকায় তার স্ত্রী খালাস পাওয়া খাদিজা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করতো। সূত্রমতে, নগরীর আর্শেদ আলী কন্টাক্টর গলির বাসিন্দা ও মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম রিফাত একজন ব্যবসায়ী। তার মায়ের নামে “মেরী পরিবহন” নামে একটি হলুদ অটোরিক্সা ছিলো, যা ভাড়ায় নিয়ে চালাতো অটোরিক্সা চালক নগরীর দক্ষিণ সাগরদী ধানগবেষনা রোড এলাকার হান্নান জোমাদ্দারের ছেলে রোমান হোসেন।
চালক রোমান ২০২০ সালের ২৯ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর ত্রিশগোডাউন এলাকা থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি আসলাম ওরফে মিজান তালুকদার, তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার ও মামলার স্বাক্ষী সাহিদা বেগমকে নিয়ে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যেখানে আসলামের শ্বশুর বাড়ি অবস্থিত। সেখানে নিয়ে কৌশলে বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের ডিকেপি স্কুল হাট সংলগ্ন রাঙ্গামাটি নদীর তীরে নিয়ে রোমানকে ৩০ জুন ভোরে হত্যা করে পেট কেটে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয় দন্ডপ্রাপ্ত আসলাম। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ১০ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় আসলাম ও তার স্ত্রীকে নামধারী এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।