ভোলার দৌলতখান পৌরশহরের পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়টি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রবেশমুখে। জড়াজীর্ণ ও ঝ্ুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ক্ক্ষসহ শিক্ষকদের লাইব্রেরি। বর্ষার মৌসুমে বিরামহীন বৃষ্টির পানি ঝরে পড়ায় উপর থেকে স্লিংয়ের পলেস্তারা প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে। ফলে দৈনন্দিন ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কার্যক্রম। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে পড়ছে পিলার। ভবনের দরজা -জানালা ও ভেঙেগেছে। স্কুল নির্মাণের মাত্র ১৭ বছরেই ভবনের এমন বেহাল অবস্থা। অবিশ্বাস্য ঝুঁকিপূর্ণ এশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারির মধ্যেই রয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের রিসোর্স সেন্টার অফিস। জানাযায়, একাধিকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনও করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। নেয়া হয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপের ব্যবস্থা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পাঠদানের জন্য যেন শিগরই ঝুঁকিমুক্ত একটি নতুন ভবন নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। উপজেলার প্রবেশমুখে অবস্থিত এবিদ্যালয়টি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮০ জন। বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা, শিক্ষামেলাসহ বিভিন্ন সামাজিকও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৫০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এবিদ্যালয়ের প্রায় ৫শতাংশ জমি বেদখলে। বিদ্যালয়ের সিমানা সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা এজমি দখলে আছে বলে জানাযায়। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের উত্তর সিমানার গেটখোলে পেছনের ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজন প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। সরেজমিন দেখা যায়, মনোরম পরিবেশের বিদ্যালয়ের মাঠে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন জানান, নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কোনো বরাদ্দ পাইনি। এ ছাড়া বহিরাগত লোকজন ঢুকে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার কথা সংশিলিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ এমরান হোসেন বলেন, ক্লাসে পাঠদানের সময় প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ফার্নিচার, বেঞ্চ ও আসবাবপত্র নেই।উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাইদুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে আমরা তালিকা পেয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে শিগগিরই পাঠানোর ব্যবস্থা করব। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ভবন বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও কোনো সুফল পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর নতুন ভবন চেয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। তিনি স্কুলটি পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান।