গাজীপুরের কালীগঞ্জে নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদার রহমত উল্লাহকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের পূর্বাচলের ২৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় চট্রগ্রামের জনৈক জহিরুল ইসলামের একটি নির্মাণাধীন বাড়ীর ঠিকাদার হিসেবে কাজ নেয় উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কালিকুটি গ্রামের মো. রহমত উল্লাহ। সেমতে দ্বিতীয় তলার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করা হয়। সম্প্রতি নাগরী ইউনিয়নের বড়কাউ এলাকার আরিফুল্লাহর ছেলে সোহান, বাসাবাসি গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে খোকন ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছে। কিন্তু স্থাণীয় ঠিকাদার মো. রহমত উল্লাহ তাদের দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ না করায় গতকাল (১৯ জানুয়ারী) বুধবার দুপুরে রহমত উল্লাহ ঐ বাড়ীতে কাজ করার সময় স্থাণীয় বড়কাউ এলাকার আরিফুল্লাহর ছেলে সোহান ও বাসাবাসি গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে খোকন এর নেতৃত্বে বড়কাউ গ্রামের তাবিজ উদ্দিনের ছেলে আল-আমিন, কামাল হোসেনের ছেলে হৃদয় এবং বছুর উদ্দিনের ছেলে শরীফ অজ্ঞাত ৩/৪ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রসী নিয়ে রহমত উল্লার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঠিকাদার রহমত উল্লাহর বাম পায়ে রক্তাক্ত যখম হয়। স্থাণীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎিসক তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেক স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার রহমত উল্লার বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে আহত ঠিকাদার রহমত উল্লাহর ভাই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই পেশায় একজন ঠিকাদার। তার বিভিন্ন কাজে নাগরী ইউনিয়নের বড়কাউ এলাকার আরিফুল্লাহর ছেলে সন্ত্রাসী সোহান ও বাসাবাসি গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে খোকন প্রায়ই মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের চাঁদা না দেয়ায় পূর্বাচলের এ কাজে এসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে আসছিল। আজ (বুধবার) দুপুরের কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সহ এসে দাবীকৃত চাঁদা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। তাদের হুমকির ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রহমত উল্লাহর উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে বাম পায়ে গুরুতর যখম করে। রহমত উল্লাহ গুরুতর আহত হলে সন্ত্রাসীরা তার নিকট থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা ও মানিব্যাগসহ ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রহমত উল্লাহকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এস আই মো. কামাল হোসেন বলেন, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আহত ঠিকাদার রহমত উল্লাহর ভাই মো. আনোয়ার হোসেনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান জানান, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।