অনুমোদনহীন ড্রাম চিমনী ব্যবহার করে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বন্ধ করে দেওয়ার একদিন পর পুনরায় চালু করা হয়েছে ইটভাটা। ঘটনাটি জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার পশ্চিম মঙ্গা গ্রামের।
বৃহস্পতিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উচ্ছেদকৃত ইটভাটার মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মাহফুজুল আলম লিটন ক্ষমতার দাপটে সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অমান্য করে বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কাজিরহাট থানার পশ্চিম মঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আলম ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ধ করে দেওয়ার পরেরদিন (১৬ জানুয়ারী) পুনরায় সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ড্রাম চিমনী স্থাপন করে ফের ইটভাটার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন ভুলু হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার বলেন, আমাদেরসহ এলাকার অনেকের জমি দখল করে মাহফুজুল আলম লিটন বিগত দুই বছর আগে আলম ব্রিকস নামের একটি ইট ভাঁটা তৈরি করে। ওইসময় আমরা একাধিকবার বাঁধা প্রদান করায় তার (লিটন) সহযোগীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় কাজিরহাট থানায় মামলা দায়ের করা সত্বেও লিটন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় পুলিশ কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম বলেন, অনুমোদনহীন হওয়ায় আলম ব্রিকসসহ বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে জরিমানা করার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি কেউ বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটা চালু করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মাহফুজুল আলম লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ড্রাম চিমনী ব্যবহার করায় শুধু জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটা বন্ধ করার কোন নির্দেশনা নেই।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে জিগজ্যাক ১৭৯ টি এবং পুরাতন ফিক্সড পদ্ধতি ২৮টি ও বিভিন্নস্থানে সনাতনী পদ্ধতির ড্রাম চিমনী রয়েছে, যার হিসেব অধিদপ্তরে নেই। এরমধ্যে ১০৩টি জিগজ্যাগ ইট ভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে, বাকী ৭৬টির পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।