আমার মাইয়ারে অনেক নির্যাতন করছে। অনেকবার শরিরে আগুন দিয়ে মারার জন্য চেষ্টাকরে। আমার সোনার একটি নাতি ১০ মাসের শিশু তনিম শেখ তাকে কোলে থাকা অবস্থায় আমার মেয়ে রাশিদাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যাকরে রাস্তার পাসে রাশিদা ও তার কোলে থাকা শিশু তনিম শেখকে ফেলে গেছে। শিশু কান্না শুনে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পায়। ওই নিষ্ঠুর হত্যাকারি একটু বুক কাপেনাই। আমি ওর ফাঁসিচাই। এই কথাগুলো বললো বৃহস্পতিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানা চত্তরে নিহতের মাতা জহুরা বগেম।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গৈলা ইউনিয়নের নগরবাড়ি গ্রামের মৃত.করিম শাহ’র মেয়ে রাশিদা বেগম (২৬) এর সাথে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে বেদগ্রাম এলাকার আনোয়ার শেখের ছেলে তামিম শেখে (৩২) এর সাথ দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয়।
নিহতর বোন সাহিদা বেগম জানায়, তাদের বোন রাশিদাকে তার স্বামী তামিম শেখের সাথে সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া হত। স্বামী তামিম স্ত্রী রাশিদাকে প্রায়ই মারধর করত। পারিবারিক কহলের কারণে স্ত্রী কে হত্যার করে স্বামী। তাদের সংসারে ১০ মাসে একাটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা ওসি তদন্ত মাজহারুল ইসলাম জানায়, বুধবার দুপুরে রাশিদার স্বামী তামিম শেখ স্ত্রী রাশিদাকে ও ১০ মাসে ছেলে শিশু সন্তান তনিম শেখকে গোপালগঞ্জ জেলার বেদগ্রামে নিয়ে যায়। বুধবার রাতেই স্বামী তামিম শেখ স্ত্রী রাশিদাকে হত্যা করে তার লাশ আনুমানিক রাত ১০টায় বরিশাল-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের আগৈলঝাড়ার ওভার ব্রীজের পশ্চিম পাশে ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা শিশুটির কান্না শুনে রাশিদার লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে জানালে আমি ঘটনা স্থালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।
ওই রাতেই আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার এর নেতৃত্বে আমি (ওসি তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে রাশিদার হত্যাকারি স্বামী তামিম শেখকে তার নিজবাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার বেদগ্রাম এলাকা থেকে রক্তমাখা জামাসহ গভীর রাতে গ্রেফতার করি।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানায়,নিহত রাশিদার ভাই রুহুল আমিন শাহ বাদী হয়ে তামিম শেখ কে প্রধান আসামীকরে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং-৮, (২০/০১/২০২২ইং)। আমরা হত্যাকারিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তামিম তার স্ত্রী রাশিদাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার কৃতকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।