কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে আদালতের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই দখল উচ্ছেদের অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। বুধবার বিকেলে নাগেশ^রী কলেজমোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার। দখলের সময় কোন বিজ্ঞ মেজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। জেলা জজ কোর্টের নাজির ফরিদুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও তিনি কোর্টের আদেশ দেননি ভুক্তভোগীদের। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটি অভিযোগ করেন তার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ চলছিল। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে এসে তারা জমিটা দখল করেছে।
বুধবার বিকেলে কলেজ মোড়ে ঘটনাস্থলের পাশে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে আব্দুল গফুর সরকার অভিযোগ করে বলেন ওইখানে তার তিন শতকেরও বেশি জমিতে পাঁচতলা ভবনের কাজ চলছে। এরমধ্যে কোন নোটিশ ছাড়াই বুধবার বিকেলে বুলডোজার লাগিয়ে আমার নির্মানাধীন ভবন ভেঙ্গে ফেলে। পরে আমি এসে জানতে পারি আদালত থেকে জমিটি উপজেলার রামখানার পশ্চিম রামখানা এলাকার শুকুর তালুকদারের ছেলে শাহজাহান তালুকদারকে দখল করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ওই জমিতে তার কোন অংশিদারিত্ব নেই। আমার ছোট ভাইয়ের কাছে তিনি জমি কিনেছেন সে জমি তাকে বুছিয়ে দিয়েছে। তার জমিনটি পিছনে হওয়ার সামনের আমার জমিটি দখলে দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করে আসছিল। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, দখলে আসা আদালতের লোকজনের কাছে কোর্টের আদেশ চাইছিলাম। বারবার বলার পরও তারা দেয়নি। আমাকে পরে কোর্ট থেকে নোটিশ নিতে বলেন তারা। উচ্ছেদের সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজ্ঞ আদালতের কোন মেেিজস্ট্রেটকে পাননি। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জজ কোর্টের নাজির ফরিদুল ইসলাম। এ সময় ভুক্তভোগির আদালতের আদেশ না পাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তার কাছে আদেশ নেই বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন আপনারা আদালত থেকে আদেশ নিতে পারেন। উচ্ছেদের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতেও রাজী হননি তিনি।
নাগেশ^রী থানা পুলিশ উপস্থিতিতে জমি উচ্ছেদ হয়েছে। এ বিষয়ে নাগেশ^রী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান বলেন, আদালতের বরাত দিয়ে আমার কাছে পুলিশী সহায়তা চেয়েছে। আমাকেতো দিতেই হবে। আদালতের লোকজন আসলে আমাদের পুলিশ দেয়া হয়েছে।