ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় উপজেলা মৎস দপ্তর ও কোষ্টগার্ডের কম্বাইন্ড অভিযানে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪ টি নৌকা, ৫ মন ঝাটকা ইলিশ ও ১০ টি নোঙর উদ্ধার করা হয়েছে। আটক জেলেদের ১৯ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা করে জরিমান ও অপর ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস দপ্তর সুত্রে জানায়, ২০ জানুয়ারী (বৃহস্পতি বার) সকাল ৯ টায় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন ও কোষ্টগার্ডের তজুমদ্দিন কন্টিজেন্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেঘনার চৌমুহনী, চর নাছরিন ও সোনার চর সংলগ্ন নদীতে অভিযান চালায়। অভিযানে শিশু-কিশোরসহ ২৯ জেলেকে আটক করেন তারা। এ সময় চারটি অবৈধ কারেন্ট জালের নৌকা ও ১০ টি নোঙ্গর, ৫ মন ঝাটকা ইলিশ, ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। আটক জেলেদের ২৬ জনের বাড়ি শরীয়তপু ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, বাকী ৩ জনের বাড়ী বোরহান উদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নে।
পরে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মরিয়ম বেগম আটক ১৯ জেলেকে ৪ হাজার টাকা করে মোট ৭৬ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন। অপর ১০ জেলে অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
উদ্ধারকৃত ২০ হাজার মিটার অবৈধ জাল জনসম্মুখে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হয়। ৪ টি নৌকা ও ১০ টি নোঙর নিলামের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও জেলে নদীতে অবৈধ জাল পেতে মৎস সম্পদ নষ্ট করছে। এজন্য মৎস সম্পদ ধ্বংস প্রতিরোধে ও অবৈধ জালের ব্যবহার প্রতিরোধে সম্মিলিত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজ (২০ জানুয়ারি) কোষ্টগর্ডের একটি দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ২৯ জেলের মধ্যে ১৯ জনকে জরিমানা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১০ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০ হাজার মিটার অবৈধ জাল আগুনে পুড়ে নষ্ট করা হয়েছে। ৪টি নৌকা নিলাম দেয়া হবে। মৎস সম্পদ রক্ষার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।