মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও টেঙ্গারচর গ্রামের পশ্চিম পাড়া মহল্লার মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো. শাহআলম মিয়া। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক মো. শাহআলম মিয়া, দিন মজুরি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
গত ৫ই জানুয়ারী পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে টেঙ্গারচর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাহউদ্দিন মাস্টারের কে সমর্থক না করায় নির্বাচনে পরবর্তীর দিন ৬ই জানুয়ারী ভোরে সালাহউদ্দিন মাস্টারের নেতৃত্বে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মো. শাহআলম মিয়া কে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
সেই সময় মো. শাহআলম মিয়াকে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ঢাকাস্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতর হয়ে হাসপাতালের সিটে শুয়ে আছেন। চিকিৎসক বলেছে তার ৭০ ভাগ আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শরীরের একাধিক অংশে হাড় ভেঙে গেছে।
এদিকে তার উপর হামলার দলমত নির্বিশেষে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে আহত ব্যক্তি মো. শাহআলম মিয়া জানান, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায়। গত ৬ইং জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঘুম থেকে উঠে ছোট মেয়েটা কে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় একই এলাকার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাহউদ্দিন মাস্টার এবং তার সন্ত্রাস বাহিনী সফিক, বাবু, জামাল,মহশিন, ও শরীফ সহ প্রায় দের থেকে দুইশো সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে বেধরক মারধর করে সন্ত্রাসীরা উল্টো আদালতে মামলা দায়ের করেন। আমার অপরাধ আমি আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে কেন বিএনপির লোক সালাহউদ্দিন মাস্টার কে সমর্থন করেনি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।
মো.শাহআলম মিয়ার স্ত্রী জেসমিন সুলতানা বলেন, আমার স্বামীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাহউদ্দিন মাস্টার
হামলা চালায়। তার প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়ে
হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছি তিনি।
এদিকে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ একজন কে আটক করে। দ্বিতীয় পক্ষ আদালতের মামলার বিষয়টি তিনি অবগত নন।