নীলফামারীর ডিমলায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক মিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিজ খেয়াল খুশি অনুযায়ী দুটি পদে নিয়োগ দিয়েছে উপজেলার ছাতনাই কলোনি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ মিন্টু।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই কলোনি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ খান মিন্টু গত ৫ ডিসেম্বর ২০২১ইং অতি গোপনে দৈনিক নয়া দিগন্ত ও নীলফামারী বার্তা পত্রিকায় অত্র বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এবং গত ৪ জানুয়ারী ২০২২ইং ওই দুই পদে ম্যানেজিং কমিটির স্বল্প সময় মেয়াদ থাকার কারণে তরিঘরি করে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা ও শিক্ষা নীতি অনুসরন না করে এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং না করেই নিজ খেয়াল খুশি অনুযায়ী ডিমলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হালিম কে ম্যানেজ করে ওই দুই পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার মনোপুত প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক তাহার বাহিনীসহ ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগকারী সদস্যদের ফ্লিমি স্টাইলে তার নিজ বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পুর্বক রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নেন। মর্মে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার বিষয় অবগতসহ অবৈধভাবে দেয়া নিয়োগ বাতিলের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আফজাল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, আবু সায়েদ, ময়নাল মিয়া ও রাবেয়া বেগম। এ ব্যাপারে ছাতনাই কলোনি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ খান মিন্টু বলেন, আমি নিয়ম মেনেই নিয়োগ দিয়েছি কে কি বল্লো সেটি আমার দেখার বিষয় না এবং অভিযোগকারীদেও অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। বিদ্যালয়ের সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে রেজুলেশন খাতায় প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর নিয়েছেন। ডিজি প্রতিনিধি ডিমলা আরবিআর সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, কাগজ পত্রে নিয়ম মাফিক নিয়োগ হয়েছে। পরবর্তিতে কি করেছেন তা আমি জানিনা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হালিমের সাথে কথা বল্লে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি বার বার এড়িয়ে যান।