দীর্ঘ ১০ বছর পর তালা খুললো বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের। রোববার দুপুরে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিষদে যান নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক। ফিতা কেটে ইউপি ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। চেয়ারম্যান মেম্বারদের পদচারনায় দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পায় বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা ভবনটি। এ সময় মেরুরচর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়,গত দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলা ও তার ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জাহিদুল ইসলাম জেহাদ। দুজনেই জব্বাগঞ্জ বাজারে ও বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিজ বাসায় বসে কার্যক্রম চালিয়েছেন। ফলে কোটি টাকার ভবন অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে ১০ বছর। দীর্ঘদিন ভবনটি ব্যবহার না করায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের পলেস্তার ধসে পড়েছে। বেশির ভাগ দরজা জানালাই নেই। ভবন জুড়ে বাসা বেধেঁছে মৌ-মাছি। দূর থেকে দেখে মনে হয় মৌ-মাছির ভবন। দীর্ঘ ১০ বছর ইউপি ভবনটি ব্যবহৃত না হওয়ায় ময়লার আবর্জনা ভাগাড়ে ও গোচারন ভুমিতে পরিনত হয়েছিল। কোটি টাকার ভবনে সরকারি কোন কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভও ছিলো দীর্ঘদিনের। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচিত হলে ইউপি ভবনে নিয়মিত বসবেন তিনি। তাই রোববার দুপুরে ইউপি মেম্বারদের সাথে নিয়ে পরিষদে যান। চেয়ারম্যান কথা রাখায় খুশি এলাকাবাসী। এ সময় মেরুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর সবুজ,সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আলী,ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলীসহ ইউপি মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
মেরুরচর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ছামিউল হক নেদা বলেন,গত ১০ বছরের দুই চেয়ারম্যান একদিনের জন্যও পরিষদে আসেন নি। চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় কোনও কার্যক্রমও হয়নি। ফলে ভবনটি জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান পরিষদে আসায় খুশি এলাকাবাসী।
মেরুরচর গ্রামের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান লেলিন বলেন,আগের চেয়ারম্যান মেম্বার ১০ বছর কেউ পরিষদে আসেনাই। নতুন চেয়ারম্যান আমাদের কথা দিয়েছিলেন তিনি নিয়মিত পরিষদে আসবেন। সেই কথা রেখেছেন চেয়ারম্যান। ফলে ১০ বছর পর তালা খুলেছে পরিষদ ভবনের।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক বলেন,পরিষদের সকল কার্যক্রমই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে পরিচালিত হবে। এটা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে আমার কোন অফিস থাকবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি সংস্কার করা হবেও বলে জানান তিনি।