পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, দেশের গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষের জীবন মানের যে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে তার পেছনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অবদান রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার গ্রামে পণ্যভিত্তিক শিল্প পল্লী গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এসব শিল্প পল্লীতে স্বল্প সূদে ঋণ সুবিধা প্রদান করার কথা উল্লেখ করেন। তৃনমূল পর্যায়ে অসহায়-দরিদ্র পরিবারসহ গ্রামীন আর্থ-সামজিক উন্নয়নে বিআরডিবি (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
সোমবার সকালে রাজধানির সিরডাপ মিলনায়তনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় জেলা সমূহের প্রতিনিধি ও উপকারভোগীদের অংশগ্রহণে আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষের ভাগ্য বদলের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী সরকার। শহরের সকল নাগরিক সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌছে দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
বিআরডিবি মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিকল্পিত পল্লী গঠন ও পল্লী উদ্যোক্তা তৈরীর জন্য নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গ্রামীণ স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর পল্লী উন্নয়ন দর্শনকে কেন্দ্র করে বিআরডিবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পল্লী বাংলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জনগন ও জনপ্রতিনিধি কলের অংশগ্রহণে পিআরডিপি-৩ প্রকল্পটি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পল্লী উন্নয় ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. রাশেদুল ইসলামসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপ-পরিচালকবৃন্দ এবং ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।