বাগেরহাটের শরণখোলা মাত্র ২৫ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় সাড়ে তিন বছর বয়সী মোঃ ইসমাইল ও বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আড়াই বছর বয়সী মোঃ তাহসান নামের দুইটি শিশু পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকা ভ্যান চালক আঃ সালাম হাওলাদারের পুত্র ইসমাইল গত সোমবার মাগরিবের নামাজের পূর্বে বাড়ির পুকুর পরে যায়। খোজাখুজি করে না পেয়ে তার মা ফাতিমা বাড়ির পুকুরে খুজতে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু বলে ঘোষণা করে। সালামের পৈত্রিক বসতবাড়ি উপজেলার মালসা গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে ইসমাইলের মৃত্যুদেহ তার নানা বাড়ি পশ্চিম কদমতলা গ্রামে দাফন করা হয়। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে প্রশাসনিক ভাবে সচেতনতা মূলক কর্মকা- অব্যহত রয়েছে।
অপরদিকে রোববার উপজেলার জানেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফের পুত্র তাহসানকে নিয়ে তার মা শামসুন্নাহার দক্ষিণ বাধাল মালসা গ্রামে ভাইয়ের বৌভাতে গেলে ঐদিন বিকাল ৪ টায় বাড়ির পাশে নালায় পড়ে যায়। তাহসানকে না পেয়ে খোজাখুজির পর নালা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করে।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, শরণখোলা যেহেতু লবনাক্ত এলাকা তাই প্রতি বাড়িতেই পুকুর বা নালা রয়েছে। দুঃখ জনক এসব ঘটনা প্রতিরোধে আমি ব্যাক্তিগতভাবে এ থানায় যোগদান করার পর থেকে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকা- অব্যহত রেখেছি। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। আমি যেসব সরকারি বেসরকারি মিটিংএ অংশগ্রহণ করি সেখানেই শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুর দুঃখজনক কোন ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পিতা-মাতাকে সতর্ক থাকার আহবান জানাই।
নিহত মোঃ ইসমাইল হোসেন এর বাবা মোঃ সালাম হাওলাদার বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।