শারিরীক প্রতিবন্ধি সোলেমান (২৫) দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত অর্থের
অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। পাঁচ সদস্যের সংসার আর প্রতিবন্ধি ছোট ভাইয়ের
চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে এক দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র রিকশা চালক
সোহেল।
সোলেমান মিয়া শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরি
পাড়া গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষিশ্রমিক আবদুল বারেকের ছেলে।
জানা গেছে,পাঁচ ভাই-বোনের সংসারে বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগে।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সংসারের চাহিদা মেটাতে বড় ভাই সোহেল রিকসা চালিয়ে ও
শারিরীক প্রতিবন্ধি সোলেমান ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন
করছিলো। এর মাঝে দুই বোনকে তাদের দুজনের প্রচেষ্টায় বিয়ে দেওয়া ও প্রায় তিন
বছর আগে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে সোলেমান বিয়ে করে। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে
ঢাকায় মাঝারে মাঝারে ভিক্ষাবৃত্তি করত। সেখানে কিছুদিন যাওয়ার পর গুরুত্বর
অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে চলে আসে। এদিকে দিন যত বাড়ছে তার শরীরের সমস্যাও ততটা বাড়তে
থাকে। ছোট ভাইকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন অসহায় রিকসা চালক সোহেল।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধীর ভাই সোহেল বলেন, দুই বছর যাবত সোলেমান শারীরিক সমস্যা
দিনদিন বাড়ছে। সে এখন নিজে উঠে দাঁড়াতে পারছেনা। কোন কিছু খেলে তা পেটে
বেশিক্ষণ রাখতে পারেনা। দিনে ৮-১০ বার শুধু বমি করে। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি
হাসপাতালে কিছুটা চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তাকে বাড়িতে এনেছি। সোলেমান তার
স্ত্রী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও আমার পরিবারের ভরনপোষণ করাটাই অনেক কষ্টের। তাই
টাকার অভাবে এখন আর চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ইতোমধ্যে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক
ধার-দেনা করেছি। ডাক্তার বলেছেন, ভালো চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করা হলে আবারো
আগের মত কিছুটা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, তার চিকিৎসা করাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এতগুলো টাকা কোনভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। সেজন্য
চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার চাচা
আহমেদ হোসেন।
এ ব্যাপারে রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়া পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আমান উল্যাহ
বাদশা বলেন, সোলেমানের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার দরকার। পরিষদের পক্ষ থেকে
সামান্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। তবে তার চিকিৎসার জন্য তা যথেষ্ট নয়। তিনি
সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।