শীতের অন্যতম একটি সুস্বাদু ও পরিচিত খাবার কুমড়া আর ডাল দিয়ে তৈরি বড়ি। তরকারীর সাথে রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু বছরের। শীতের মৌসুম এলেই দেশের অন্যান্য এলাকার মতো দেবহাটায় শুরু হয় কুমড়া বড়ি তৈরির মেলা। কিন্তু অন্য বছরের তুলোনায় এই বছর শীত শেষ মুহূর্তেও বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেবহাটার বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহবধুরা। গ্রামের অনেকেই নিজেদের খাওয়ার জন্য ছাড়াও জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে এই কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ।
দেবহাটা উপজেলার প্রায় অধিকাংশ বাড়িতে দেখা যায় শীত এলেই বড়ি তৈরি করে। কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে কুমড়া বড়ি তৈরির উৎসব।
বড়ি তৈরির ব্যাপারে উত্তর সখিপুর গ্রামের শাহজান মিস্ত্রির স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, কুমড়ার বড়ি তৈরি করা গ্রাম বাংলার পুরানো ঐতিহ্য। তিনি জানান, তার বয়স ৪০ বছর, তিনি ছোট থেকে দেখে আসছেন শীতকাল পড়লে গ্রামের মা-চাচিরা কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করতো সেটা খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। এটা বিভিন্ন রকম তরকারির সাথে দিয়ে রান্না করে তরকারিতে দিলে অন্য রকম স্বাদ আসে। আগে যেমন আমরা দেখতাম মা - চাচিরা বাড়িতে শিল-নোড়া বা হিজুর-মালশা ফেলে ডাল কুটানোর কাজ করতো, কিন্তু এখন আধুনিকতার কারণে ডাল কুটার মেশিন বের হয়েছে তাই এখন তাদের অনেক কষ্ট কম হয় বলে তিনি জানান। দেবহাটা সদরের রবিউল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা খাতুন জানান, নিজেদের পরিবারের চাহিদা মতো বড়ি তৈরি করার পরেও তারা বাড়তি লাভের জন্য বেশি করে কুমড়া বড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রয় করেন।