ভোলার দৌলতখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবদুল খালেক পাটোয়ারী নামে এক অবসারপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামীসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত সাবেক এ সেনাসদস্য উপজেলার চরশুভী গ্রামের মৃত মুনাফ পাটোয়ারির ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৪ টায় চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মামলার প্রধান আসামীসহ দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বৃস্পতিবার সকালে হত্যার ঘটনার পরপরই রফিক বেপারী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রামের মৃত হজু পাটোয়ারীর ছেলে মোফাজ্জল পাটোয়ারী, বাগন আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন ও দৌলতখান পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের নসু বেপারীর ছেলে রফিকুল বেপারী। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় দৌলতখান থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোলা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: ফরহাদ সরদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রেস বিফ্রিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ মোফাজ্জল পাটোয়ারী গং একই বাড়ির সাবেক সেনাসদস্য আবদুল খালেক পাটোয়ারীর কাছে জমি পাওয়ার দাবি করে আসছিলেন। জমিজমার বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সাবেক সেনাসদস্য আবদুল খালেক ঢাকার উদ্দেশে যাত্রাপথে পৌর শহরের দক্ষিণ মাথার কাশেম ফরাজির হোটেলের সামনে আসামীদের হামলায় নিহত হন। গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) উপপরিদর্শক মো: ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের স্ত্রী নাসরিন বেগমের দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আট আসামি ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত আছে।