হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী মনিকা আক্তার ও ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ সাব্বিরকে গ্রেফতার ও বিচার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙ্গামাটি আমানতবাগ কলেজ গেইট এলাকার ভুক্তভোগী প্রাক্তন স্ত্রী মনিকা আক্তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ একটি স্থানীয় হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ বিল্লাল হোসেন টিটু, মানবাধিকার রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ কাওসার আলী, এলাকাবাসী শ্যামল চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল, মোঃ জহির ও মনির হোসেন।
রাঙ্গামাটি আমানতবাগ কলেজ গেইট এলাকার ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার প্রাক্তন স্ত্রী মনিকা আকাতর ও তার প্রেমিক রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ফরুক আহমেদ সাব্বিরসহ তাদের ক্যাডারদের সয্গে নিয়ে গত বছর ২৯ জুলাই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রানী দয়াময়ী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে রাত ৮টার দিকে হামলা চালায়। এরপর দীর্ঘদিন রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর আমার প্রাক্তন স্ত্রী মনিকা আরো বেপরোয়া হয়ে আমাকে আমার বাসায় গিয়ে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। মামলা রুজু করার পরও অদৃশ্য শক্তির বলে এখনো আসামিরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মনিকা আক্তার বারবার হুমকি দিচ্ছে তার প্রেমিক ছাত্রদল নেতা সাব্বিরের মাধ্যমে আমাকে মেরে ফেলবে।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ২০০৬ সালে প্রেম করে আমি মনিকা বিয়ে করি। বিগত ৭/৮ বছর ধরে মনিকার আচরণে অসংগতি দেখতে পায় বিভিন্ন পুরুষের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক এবং তার অবাধ্য চলাফেরা আমাকে ব্যথিত করে। তারপরও আমি আমার দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে তাকে শোধরানোর চেষ্টা করি। আমার চেষ্টাকে বিফল করে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন পুরুষের সাথে অবাধ মেলামেশা এবং বিভিন্ন জনকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। রাঙ্গামাটি ছাত্র দলের সভাপতির বাসায় আমি নিজে মনিকাকে একাধিকার হাতে নাতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। সাথে সাথেই প্রতিবাদ করি এবং তাকে শাসন করার চেষ্টা করি। এ সময় তাদের কিছু একান্ত মুহুর্তের ভিডিও এবং অডিও রেকর্ডিং আমার হাতে চলে আসে। আর যখন মনিকা ও তার প্রেমিকের এসব ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং আমার কাছে আসে জানতে পারে সেসব তথ্য মনিকা ও সাব্বিরের আগামী দিনে হুমকি স্বরূপ হতে পারে ভেবে তারা আমাকে হত্যার জন্য চেষ্টা চালায়।
তিনি আরো বলেন, শুধু সার্ব্বির নয় আরো একাধিক ব্যক্তির সাথে মনিকার অন্তরঙ্গ মুর্হুতের ভিডিও এবং অডিও আছে যা খুবই আপত্তিকর। শুধু তাই নয় শুনেছি মনিকা বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সাথে মিলে মিশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। একই সাথে মনিকা আমার বসত-ভিটা তার নামে লিখে নেয়অর জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। আসামি হওয়ার পরও সে আমার বাসায় এসে আমাকে মারধর করে এবং সাব্বিরকে দিয়ে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। আমি সে ভয়ে আমার নিজ বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করছি বিগত ৪ মাস ধরে। আমি আসামীর মতো পালিয়ে থাকি বাঁচার জন্য অথচ হত্যা চেষ্টার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি মনিকার এসব অনৈতিক কর্মকা- আর সহয্য করতে না পেরে আইনানুগ ভাবে তাকে তালাক প্রদান করি। তাই আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই, বাঁচতে চায় আমার সন্তানের জন্য। এসব হায়নাদের হাত থেকে আমাকে বাঁচাতে অতিদ্রুত মনিকা ও তার প্রেমিক সাব্বিরকে গ্রেফতার আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসন ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।