ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার রাত ৯টায় নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আজ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরপরই নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ বিনা উস্কানিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। এই হামলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কোন কারণ ছাড়াই পুলিশের এই হামলা কাপুরুষোচিত ও পূর্ব পরিকল্পিত। বিএনপি’র কর্মসূচিতে পুলিশী হামলা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর চিরচেনা সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিবেক, সুচিন্তা, নৈতিকতা ইত্যাদিকে জলাঞ্জলি দিয়ে শাসকগোষ্ঠী এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-ক্ষমতার আড়ালে ব্যাপক দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া। তাদের গুম-খুন-বন্দুকযুদ্ধের উন্মাদ-লীলার কারণে বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। যেকোন মূহুর্তে পতনের সম্ভাবনায় তারা মরণকামড় দিচ্ছে। আর এ কারণেই রফিকুল আলম মজনুকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম বাশার, মুগদা থানা বিএনপি’র সদস্য মো. মজিবর, ছাত্রদলের স্টাফ মুন্নাসহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া হামলায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদ, তাইফুর রহমান ফুয়াদসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়।