মেহেরপুরের গাংনীতে জামায়াতের একজন অন্ধ কর্মীসহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন বৈঠক চলাকালে শনিবার রাত ১০ টার সময় উপজেলার নওয়াপাড়া চৌধুরী মসজিদ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জিহাদী বই,লিফলেট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাহারবাটি ইউনিয়নের জামায়তের সেক্রেটারি শেখ সাদী, সাহারবাটি গ্রামের রবিউল ইসলাম রুবেল,মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ রিপন আলী,ভাটপাড়া গ্রামের কায়জার আলী,এরশাদ আলী,কাউছার আলী,তৈয়ব আলী,ইউসুফ আলী,মোশাররফ আলী,সেলিম রেজা,হাফিজুর রহমান,তহিদুল ইসলাম, ইরফান আলী,আব্দুর সাত্তা,তবারক ওরফে তবারিক হোসেন,মকলেচুর রহমান,শরিফুল ইসলাম,ইদ্রিস আলী,মোঃ নাসির, আলহাজ উদ্দিন,কুলবাড়িয়ার কামরুজ্জামান কারিকর (অন্ধ),জাহিরুল ইসলাম,সোহেল,এরশাদ আলী লাল্টু,আমিরুল ইসলাম,তোফাজ্জেল হোসেন,ইনারুল ইসলাম,আকরাম আলী,আরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া মেহেরপুর স্টোডিয়াম পাড়ার সোহেল রানা ওরফে ডলার,গভীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম,পশ্চিমমালসাদহের আল আমিন ইসলাম বকুল,মুজিবনগরের বল্লবপুরের তাজউদ্দিন খান,দারিয়াপুরের জারজিস হুসাইন মেহেরপুর নতুন পাড়ার রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর মন্ডল পাড়ার ইকবাল হুসাইন ও টুটুল হোসেন পলাতক রয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক জানান,জামায়াতে নেতাকর্মীরা নওয়াপাড়া চৌধুরী মসজিদে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মুলক গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন পর্যায়ের ৩০ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খাঁন সহ ৭জন পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় সেকেন্ড অফিসার এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৩। তাং ১৩.০২.২০২২ ইং।