ভোলার দৌলতখানে এইচএসসি পরীক্ষায় একই পরিবারের যমজ তিন-ভাই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তিন ভাই-বোন একই সাথে জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাদের পরিবারসহ পুরো এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন, মিয়াদ হাসান (সান) ও মেহেদি হাসান তারা দুজনই দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। অপরজন মুশফিকা জাহান মুন তিনি ঢাকা ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল এ- কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। জমজ তিন ভাই-বোন দৌলতখান পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিনের সন্তান। তবে এই প্রথমই নয় এর আগেও তিন ভাই বোন ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপানী পরীক্ষায় দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিন জনই জিপিএ-৫ অর্জন করেন। জমজ দুই ভাই ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ও ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দৌলতখান সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মুশফিকা জাহান ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ও ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দৌলতখান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে মুশফিকা জাহানের স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার ও মিয়াদ হাসানের স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার এবং মেহেদী হাসান হতে চায় পাইলট। তবে তাদের এ সাফল্য অর্জন ও স্বপ্ন পূরণে তাদের বাবা মুসলেউদ্দিন ও মা বিবি ফাতেমা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সকল স্বপ্নই এই তিন সন্তান কে ঘিরে। তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সরকারের সহযোগিতা ও সকলের দোয়া কামনা করেন তারা। দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লা কলেজের অধ্যক্ষ গোবিন্দ প্রোসাদ সরকার জানান, তারা খুবই ভালো শিক্ষার্থী। তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগালে তাদের পক্ষে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো অনেক সহজ হবে। দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, আমি তাদের এইচএসসি পরীক্ষায় জমজ তিন ভাই বোনের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে খুশি হয়েছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য তাদের কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহায়তা করা হবে।