ভোলার দৌলতখানে সন্তান প্রসবের পরপরই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া সেই সাদিয়া আক্তার মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ- ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সাদিয়া দৌলতখান উপজেলার দলিলউদ্দিন খায়ের হাট আলী আশরাফ কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় দৌলতখান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় দেয়। বাল্যবিয়ে ও সদ্য প্রসূত সাদিয়াকে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাদিয়া আক্তার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন কাজির মেয়ে। জানাযায়, এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পর উপজেলার একই গ্রামের মেহেদি হাসানের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করে সে। পরীক্ষা চলাকালীন দিন সাদিয়ার প্রসব বেদনা শুরু হলে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। সেখানেই স্বাভাবিক ভাবে সে ছেলে সন্তানের মা হন। সন্তান প্রসবের পরপরই সাদিয়া তার সদ্য প্রসূত সন্তান রেখে মায়ের সঙ্গে কেন্দ্রে এসে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। সে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে। আলী আশরাফ কলেজের প্রভাষক মিরাজুর রহমান জানান, সাদিয়া আক্তার লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর পরই তার বিয়ে হয়। কিন্তু সাদিয়া অন্য শিক্ষার্থীদের মতো নিয়মিত ক্লাস করেছে। বাল্যবিবাহ ও সন্তান প্রসব এসব বাধা তাকে থামাতে পারেনি। দৌলতখান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিবও দৌলতখান আবু আবদুল্লা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, গোবিন্দ প্রোসাদ সরকার জানান, পরীক্ষা চলাকালে আমি মেয়েটির খোঁজ নিয়েছি। সে খুব সাহসের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।