‘খোকন খোকন ডাকপাড়ি, খোকন মোদের কার বাড়ি, আয়রে খোকন ঘরে আয়, দুধ মাখা ভাত কাক এ খায়“ এ ছড়া আমরা ছেলে বেলায় অনেক পড়েছি। হয়ত ছড়াটির অর্থ ভাল করে বুঝতে পারিনি তখন। তবে সেই ছড়ার দুধমাখা ভাত কাক খেয়েছিল কিনা তা জানতে না পারলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নাস্তা নাকি কাক এ খেয়ে যাচ্ছে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাবে ৩৫ জন করে সদস্য নেবার নির্দেশ থাকলেও সদস্য নেওয়া হয়েছে ৩০ জন করে। এবং এ সকল সদস্যদেও সপ্তাহে দু-দিন হিসাবে প্রতিমাসে ৮দিন করে ওরিয়েন্টেশন হয়। জনপ্রতি ৩০ টাকার নাস্তা বাবদ বরাদ্ধ থাকলেও নাস্তা দেয়া হয় সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ টাকার।
সরেজমিনে কিশোর-কিশোরী ক্লাব পরিদর্শন করে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন ও অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই নাস্তাদিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভ্যাট, আইটি বাদে ২০ টাকার মত অবশিষ্ট থাকে সেই টাকায় যা হয় তাই দেয়া হয়।