ভোলার দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলমগীরের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনের সনদের জন্য মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জন্মনিবন্ধের সনদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি আসলে কত টাকা তা অধিকাংশ মানুষ জানেনা। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি ও টিকার জন্য জন্মনিবন্ধের সনদের জন্য ভীর এখন ইউনিয়ন পরিষদে। আর এই সুযোগেই ইউনিয়ন পরিষদের কতিপয় অসাধু সচিবও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে রমরমা বাণিজ্য করছে। অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের সনদের জন্য গেজেটে ৫০ টাকা ফি নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা তারা মানছেন না। ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলমগীর হাজীপুর (ইউপি) সচিব হিসেবে ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের নুরে আলম অভিযোগ করে বলেন, তিনি তার পরিবারের পাচঁ জনের জন্মনিবন্ধনের সনদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আসলে সচিব তার কাছ থেকে ১১ শত টাকা নেয়। পরে সচিব তাকে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার কাছ থেকে জন্মনিবন্ধের আবেদন করে নিয়ে আসতে বলে। উদ্যোক্তা তার কাছে ফের একজনের আবেদনের বাবৎ একশত টাকা করে মোট পাচঁশত টাকা দাবী করলে তিনি বিষয়টি ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনকে জানান। এমন আরও অভিযোগ করেছেন জন্মনিবন্ধনের জন্য আসা মোঃ আলী সহ অনেক লোকজন। হাজীপুর ইউনিয়নের ওয়াজি উল্লাহ মিয়া অভিযোগে করে বলেন, তিনি জন্মনিবন্ধনের দুইটি আবেদনের ফরম পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে গেলে সচিব তার কাছ থেকে ছয়শত টাকা নেন। সচিব সাংবাদিকদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় সচিবের সাথে অভিযোগকারী নুরে আলমসহ ভূক্তভোগী লোকজনের বাকবিত-া হয়। লোকজনের তোপেরমুখে সচিব চেয়ারম্যানের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেয়ায় বিষয়টি স্বীকার করেন। ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন জানান, সচিবের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত টাকা নেয়ায় সচিবকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে। সরকারের নির্ধারিত ৫০ টাকার বেশি অতিরিক্ত টাকা না নেয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে। সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবদুর রহমানের বিরুদ্ধেও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী আবদুল মন্নানসহ অনেক লোকজন। বাড়তি টাকা নেয়ার পরও জন্মসনদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে এসে অনেকদিন ঘুরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।