ভোলার দৌলতখানের মেঘনায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হাতিয়াগামী যাত্রীবাহী তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে দুই জেলে নিহত ও একজেলে নিখোঁজসহ তিনজেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার কাজীর হাট এলাকার নতুন মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনায় ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় নিহত দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভোলা কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দৌলতখান লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে এ মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, এরশাদ(৩০) আকবর (৩৫)। এখনও নিখোঁজ মমিন (২৫) নামে এক জেলের সন্ধান মেলেনি। নিহত ও নিখোঁজ তিনজনই উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
অপরদিকে ট্রলারে থাকা তিন জেলে হচ্েেছ সোহেল (২০) জামাল (৩৫) ও ইদ্রিস (৫০)। আহতরা দৌলতখান ও ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ট্রলারের মালিক আবদুর রহমন জানান, বুধবার রাত ২ টার দিকে নয়জন জেলে নিয়ে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে জাল ফেলেন। এ সময় তাসরিফ-২ লঞ্চটি মাছ ধরার ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ভেঙ্গে ডুবে যায়। পরে ছয় জেলে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিন জেলে নদীতে নিখোঁজ হন। আজ বিকালে নিখোঁজ তিন জেলের মধ্যে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনও এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। খবর পেয়ে ভোলা কোস্টগার্ড ও দৌলতখান ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা যৌথভাবে নিখোঁজ জেলেদের মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার কাজ পরিচালানা করে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে মেঘনার তীরে ভিড় করছেন স্বজনরা। ট্রলার ডুবির ঘটনার বিষয়টি তাসরিফ-২ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন।
দৌলতখান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে নিখোঁজ জেলের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।