নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগেউঠেছে। অপরদিকে পুলিশে এবিষয়টিকে সাজানো নাটক বলে অবিহিত করছেন।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ভোরে রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের গৌরিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। তখন নৌকার প্রার্থী মো. হোসেন ভুইয়ার সমর্থক মোল্লাবাড়ী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সানাউল্লাহ ভুইয়ার সমর্থক পাঠানবাড়ীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। নির্বাচন পরবর্তি এরই জের ধরে একাধিক দফায় উভয়ের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় মোল্লাবাড়ীর কিছু লোকজন জেল হাজতে ও এলাকা ছাড়া হতে হয়।
এই সুযোগে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) ভোরে পাঠান বাড়ীর সমর্থকরা মোল্লা বাড়ী সমর্থক ৫ ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে মুদি ব্যবসায়ী সুমন মোল্লার স্ত্রী আসমা বেগম জানান, বিগত দিনের হামলা-ভাংচুরের মামলায় আমার স্বামী কিছুদিন ধরে এলাকার বাহিরে থাকায় আমার ছেলে ফোয়াদ মোল্লা দোকানে বসে। শনিবার ভোরে পাঠান বাড়ীর লোকজন দোকানে হামলা চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার, তেলের ড্রাম, ফ্রিজসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
তারমতো হোটেল মালিক আশিকুর রহমানের স্ত্রী সাজেদা বেগম, চাউল ব্যবসায়ী কাওসার মোল্লার মা পিয়ারা বেগম, ফার্নিচার ব্যবসায়ী মুন্তাজ মিয়ার স্ত্রী শিরিনা বেগম, কনফেকশনারী ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, সকলেই যখন ঘুমের ঘরে অচেতন ঠিক সেই মুহুর্তে পাঠান বাড়ির লোকজন, আমাদের ব্যভসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় চালিয়ে ধদাকানে থাকা সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।
এমোল্লা বাড়ীর লোকজনের আরো জানান, বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাতনামা থাকায় পুরুষরা পুলিশি আতঙ্কে বাড়ির বাহিরে থাকতে হয়। এই সুযোগে পাঠান বাড়ীর লোকজন প্রতিরাতেই ককটেল ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখে। তারা আমাদের সমর্থকদের প্রায়ই বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তাই সন্ধার পর আমরা ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাই। বাড়ী-ঘর পুরুষ শুন্য থাকায় রাতের আঁধারে বাহিরে থাকা গবাদী পশু, হাস-মুরগীসহ নানা জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পাঠান বাড়ীর সমর্থক রুবেল মিয়া জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মোল্লা বাড়ীর লোকজন আমাদের বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজকের ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরির্দশনকালে রায়পুরা থানার এস আই রাকিবুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থদের সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। এসব তারা নিজেরাই সাজানো নাটক তৈরী করেন। এবাবে নাটক তৈরী করে তারা একেক বার একেক ধরনের অভিযোগ তুলেন।