অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেষ হলো ৩দিন ব্যাপী কবি সুকান্ত মেলা।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তরুণ কবিদের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ মেলা। সমাপনী দিনে অর্ধ শতাধিক তরুন কবি কবিতা আবৃত্তি করেন। তাদের প্রত্যেককেই মনে হয়েছিল এক একজন কবি সুকান্ত। প্রতিটি কবির কন্ঠে অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলা উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মোঃ কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিয়া শারমিন, শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ভাবুক, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাফেজা বেগম, কবি ও সাহিত্যিক মিন্টু রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম দাড়িয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বুলবুল, উদীচী কোটালীপাড়া শাখার সভাপতি অশোক কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক রতন সেন কংকন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, প্রতি বছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের আয়োজনে কবি সুকান্ত মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলার মাধ্যমে আমরা কিছুটা হলেও কবি সুকান্তকে বাঙালি জাতির কাছে তুলে ধরতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, এ বছরই প্রথম আমরা এ মেলায় বইয়ের স্টল বসিয়েছি। আগামীতে আমরা আরো বেশী করে বইয়ের স্টল বসাবো।
কবি মিন্টু রায় বলেন, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার লেখা কবিতার মাধ্যমে শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে চেয়ে ছিলেন। আমরাও চাই শোষণমুক্ত, দূর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।