পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাস চাপা দিয়ে ডেইলি ইন্ডাষ্টি পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি হাসান পারভেজকে হত্যার চারদিন অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার হয়নি বাসচালক।
১২ মার্চ নিহত সাংবাদিকের ভাই ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় যমুনা লাইন পরিবহনের চালক মনির শেখ, সুপারভাইজার রকি ও সহকারী রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তবে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম জানান, দূর্ঘটনার পরই বাসচালক ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সন্ধায় নিহত হাসান পারভেজের স্মরণে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে স্মরণসভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়।
সভায় বক্তারা বলেন, যমুনা লাইন পরিবহন এক মাসের মধ্যে তিনজনকে চাপা দিয়ে হত্যা করেও তারা বহাল তবিয়তে আছে। অবিলম্বে এ বাসের রুট পারমিট বাতিল করা না হলে সড়কে মৃত্যুর সারি বাড়তেই থাকবে। একই সাথে নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেন। তাদের এ দাবি মানা না হলে পরিবহন সেক্টরের নৈনাজ্য বন্ধে কলাপাড়া থেকে বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিক নেতারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মিলন কর্মকার রাজুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোশারফ হোসেন মিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু, মোহসীন পারভেজ, নেছারউদ্দিন আহমেদ টিপু, বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, জীবন কুমার মন্ডল, এনামুল হক, নিহত হাসান পারভেজের পরিবারের সদস্য কামাল হোসেন, সাংবাদিক চঞ্চল সাহা, গোফরান বিশ্বাস পলাশ, জসীম পারভেজ, এস কে রঞ্জন, ফরিদ উদ্দিন বিপু, নুরুল আমিন, রাসেল মোল্লা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১১ মার্চ সন্ধায় ৭টার দিকে রাস্তার পাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে বাজারে যাওয়ার পথে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা যমুনা লাইন পরিবহনের বাস নীলগঞ্জে হাসান পারভেজকে রং সাইডে গিয়ে চাপা দিয়ে প্রায় ৩০ ফুট টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ বাসটি আটক করে।