লালমনিরহা সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে চোর সন্দেহে মোঃ রেজাউল ইসলাম (৩৭) নামে এক বাংলাদেশী যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় জনগণ। এ সময় বাবুল মিয়া (৩৫) নামে আরও একজন বাংলাদেশীকেও আটক করে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবের ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তের ওপারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন জগতবের ইউনিয়নের ভুমিহীনটারী গ্রামের মোঃ মনসুর আলীর পুত্র মোঃ রেজাউল ইসলাম এবং আটককৃত ব্যক্তি হলেন পূর্ব জগতবের গ্রামের বেলাল মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রেজাউল ইসলাম, বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন বাংলাদেশী মিলে বুধবার রাতে ভারতের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটেলিয়ান পারাশা ক্যাম্প এলাকায় ভারতের এক কিঃ মিঃ ভিতরে প্রবেশ করে গরু আনতে যান। সেখানকার লোকজন চোর এসেছে বুঝতে পেরে তারা একত্র হয়ে তাদের ধাওয়া করে আটক করে। এ মসয় রেজাউল ইসলামকে আটক করে ঘটনা স্থলেি পিটিয়ে হত্যা এবং বাবুল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ভারতের অভ্যন্তরে পরে ছিল।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। যেহেতু ঘটনাটি সীমান্তের তাই বিষয়টা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) দেখবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জালাল সরদার একজন নিহত ও দুজন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে সীমান্তে একজনের লাশ পড়ে আছে এটি আমরা জানতে পেরেছি।