পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নানান ধরনের উদ্যোগ। তাকে বরনে প্রস্তুত করা হয়েছে রং বেরংয়ের আলপনায় ২২০ টি নৌকা। নৌকা প্রায় ১১শ জেলে বাহারি পোশাকে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকায় মন কাড়ছে সকলের। এদিকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন সরকারি দপ্তর গুলো।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর পটুয়াখালীকে আন্তর্জাতিক মন্ডলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিবে এবং উন্নয়নের নতুন করিডোর হিসেবে পরিচিত পাবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপ কমে আসায় পাবলিক প্রোগ্রামে স্ব শরীরে দ্বিতীয় বারের মত পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২১ মার্চ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নানান ধরনের উদ্যোগ। তাকে বরনে প্রস্তুত করা হয়েছে রং বেরংয়ের আলপনায় ২২০ টি নৌকা। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজীবপুর গ্রামের আন্ধারমানিক নদীর তীরে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী এ নৌকাগুলোকে প্রস্তুত করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ প্রচেষ্টার পর এ নৌকাগুলোর সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে।
¯’ানীয় জেলেরা জানায়, এ নৌকাগুলো ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি সংলগ্ন রাবনাবাদ নদী মোহনায় সারিবদ্ধ করে রাখা হবে। প্রতিটি নৌকায় রং বেরংয়ের পোশাকে ৫ জন করে ১১শ‘ জন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। উপকূলের জীবনযাত্রার প্রতীক হিসেবে নৌকার মাধ্যমে সে দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা
এদিকে রাষ্ট্র প্রধানের এ সফরকে সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করছেন সরকারি দপ্তর গুলো।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর পটুয়াখালীকে আন্তর্জাতিক মন্ডলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিবে এবং উন্নয়নের নতুন করিডোর হিসেবে পরিচিত পাবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
এবারের সফরে দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।