খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম সুমন্ত পাড়ায় জাতীয় দলের নারী ফুটবলার মনিকা চাকমাকে দেখতে গেলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। ২২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদর থেকে ৭কি: মি: দুরে তাঁর নিজবাড়ি সুমন্ত পাড়ায় গিয়ে মনিকা চাকমা ও তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মনিকা চাকমা ও পরিবারের জন্য দুটি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর এবং তার জন্য দুই লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও তাঁর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা এবং ছড়ার উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন।
এ সময় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইশতিয়াক ইমন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য মেমং মারম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু চাকমা ও সুমনা চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে লক্ষ্মীছড়ির মরাচেগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টীমের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলা পর্যায় খেলেন মনিকা চাকমা। পরে জাতীয় পর্যায় খেলার ডাক পান অনূর্ধ্ব-১৪ দলে। এ দলটি ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এএফসির টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছিলো। ওই আসরে মনিকা গোল করেছিল তিনটি। মনিকা চাকমা বাংলাদেশের জাতীয় দলের নারী ফুটবল খেলোয়াড়। সে খেলে মধ্যমাঠে। ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোল করে পরিচিতি পান। ফিফা তার এ গোলকে ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া মনিকা চাকমা এখন সকলের পরিচিত মুখ। পিতা বিন্দু কুমার চাকমা ও মাতা রবি মালা চাকমা। ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি মনিকার বাবার পছন্দ ছিলো না। তাই বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে ফুটবল খেলতেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বড় বোন অনিকা চাকমা।